মাথায় খুশকি | cause of dandruff
বাচ্চাদের মাথায় খুশকি একটি সাধারণ সমস্যা। এতে মাথায় আঁশের মত উঠে আসে ও চুলকানি সৃষ্টি করে।
লক্ষণ কিঃ
১। মাথার ত্বকে শুকনো সাদা আঁশ বা তৈলাক্ত আঁশ।
২। অনবরত চুলকানি (dandruff scratching) হয়।
৩। বেশী
খুশকি হলে মাথার ত্বকে লাল ছোপ দেখা যাবে।
কি
করবেনঃ
১। খুশকি
কম হলে,প্রতিদিন বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
২। শ্যাম্পু করার আগে শিশুর চুল ব্রাশ করুন যাতে শিশুর মাথা থেকে সব আঁশ সরে
যায়।
কিছু ঘরোয়া টিপসঃ
১। বাচ্চার মাথায় অলিভ অয়েল দিয়ে ২৫/৩০
মিনিট রেখে দিন। কোন কাপড় দিয়ে হালকা ঘসে তেলটুকু মুছে দিন | এবার ভালো মানের কোনো
বেবি শ্যাম্পু দিয়ে গরম পানিতে মাথা ধুয়ে দিন |এভাবে নিয়মিত কিছুদিন করুন। খুশকি চলে যাবে |
২। আপনার বাচ্চাদের যতটা বেশি সম্ভব পানি পান করতে বলুন। যদি তারা নিজে থেকে পান না করে তবে যে কোন জুস বানিয়ে ও দিতে পারেন। তাদের হাইড্রেটেড রাখলে অবশ্যই খুশকি হ্রাস করতে পারে।
৩. সাদা ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে আপনার বাচ্চার চুল ধুয়ে দিন। উপকার পাবেন।
৪. নারকেল তেলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ থাকায় এটি সরাসরি স্ক্যাল্পে প্রয়োগ করতে পারেন। শ্যাম্পু করার আগে কিছুক্ষণ মাথায় রাখুন।
৫. খুশকি বেশী মনে হলে (bad dandruff) মাথায়
ভ্যাসলিন এর পুরু প্রলেপ দিয়ে রেখে দিন সারা রাত। সকালে আলতো করে মুছে ফেলুন। এটি
করতে হবে হবে নিয়মিত কিছুদিন।
৬. আমলা পানিতে
মিশিয়ে পেস্টে পরিনত করে মাথার ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকরী।
সাবধানতাঃ
১।
বাচ্চার মাথায় হেয়ার কন্ডিশনার দেবেন না। এর থেকে তেলই শিশুর চুলের জন্য ভালো
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
২।
ত্বকের সমস্যায় বাচ্চাদের চুলে জেল বা ক্রিম দেয়া উচিত নয়।
৩। খুশকি
হলে আপনার বাচ্চার জন্য আলাদা চিরুনি এবং তোয়ালে ব্যবহার করুন।
৪। স্ন্যাকস বা ফাস্ট ফুড মাথার ত্বকে চুলকানি বা খুশকি সৃষ্টি করে।
৫।
অনেক সময় শিশুর
চুলে উকুন দেখা দেয়। এর জন্য মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। উকুনের
সংক্রমণ কমানোর জন্য ঘন ঘন বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার পরিবর্তন করুন।
৬।
শিশুর চুল শুকাতে ড্রায়ার বা চুল সেট করতে হেয়ার আয়রন ব্যবহার করা ঠিক নয়।
জেনে
রাখুনঃ
১।
বারবার মাথার চুল কাটলেই চুল ঘন হয় কিংবা চুল কাটলে চুলের গোড়া মোটা হবে না। এর কোনো
ভিত্তি নেই। চুলের কাঠামো অনেকটা জিনগত ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে।
২।
শীতে শিশুর শরীর হালকা গরম পানি দিয়ে ধোয়ালেও মাথা ধোবেন স্বাভাবিক তাপমাত্রার
পানি দিয়ে।
৩।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন
অলিভ অয়েল হালকা গরম করে শিশুর চুলে ম্যাসাজ করুন। ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে তাতে।
৪।
শীতে শিশুর চুলের আগা ফাটতে থাকলে এক-দেড় মাস পর পর শিশুর চুলের আগা কিছুটা ছোট করে
দিতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই
If you have any doubts please let me know