ক্লিক করুন এখানে

সদ্যজাত শিশুঃ কি করনীয় | what to do after baby is born

প্রতিটি বাবা মার কাছে সন্তান প্রাপ্তি এক পরম পাওয়া- সন্দেহ নেই। তাই সন্তান জন্ম গ্রহনের পর কি কি বিষয় খেয়াল করতে হবে তা জানাটা ও খুব জরুরী। আসুন এ ব্যাপারে একটু আলোকপাত করি।

কি করনীয়ঃ 

১। বাচ্চা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে একটি হালকা গরম কাপড় দিয়ে শিশুর পুরো শরীরটাকে মুছে ফেলতে হবে। ওই কাপড়টা পরিবর্তন করে আরেকটি শুকনো কাপড় দিয়ে সেটা মুড়িয়ে রাখতে হবে। তার পাশাপাশি আমাদের দেখতে হবে বাচ্চা শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে কি না।

২। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাচ্চাকে মায়ের দুধ খেতে দিতে হবে। বাচ্চাকে বুকের দুধ ছাড়া আর কোনো কিছু দেওয়া যাবে না এবং ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াবেন।  

                       

৩। জন্মের পরে দুই-তিন দিন পর গোসল করালে ভালো হয়। কারণ, হওয়ার পর দিলে অনেক সময় বাচ্চার নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুই-তিন দিন পর থেকে প্রতিদিন বাচ্চাকে গোসল করাতে হবে।

৪।বাচ্চাকে দেড় মাস বয়স থেকে টিকা দেওয়া শুরু করতে হবে।

৫। বাচ্চা জন্মের পর ২৪ ঘণ্টায় ছয়বার প্রস্রাব করে কি-না,খেয়াল রাখতে হবে।

৬।বাচ্চা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক কান্নাকাটি এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে কিনা খেয়াল করতে হবে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বলতে তার শ্বাস-প্রশ্বাসটা ৩০ থেকে ৬০-এর মধ্যে হতে হবে।


ইসলাম ধর্ম কি বলেঃ

১। ইসলামিক দৃষ্টি কোন থেকে,জন্ম নেবার পর শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিবেন স্বল্প আওয়াজে।

২। শিশু জন্ম নেবার সাত দিনের মাথায় মাথার চুল ফেলে দিতে পারেন। এতে ভবিষ্যতে সুন্দর চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৩। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রথম দিন বা সপ্তম দিন নব জাতকের নাম রাখা সুন্নত।

৪। নবজাতকের বয়স ৭দিন হলে আকিকা দেয়া। সন্তান জন্মের সাত দিনের মাথায় আকীকা করা। (আবু দাউদ)। সপ্তম দিনে না হলে চৌদ্দ দিনে, না হলে একুশ দিনের মাথায় আকীকা করা যেতে পারে।ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল দ্বারা আকীকা করা

৫। নবজাতকের জন্মের সপ্তম দিন মাথা মুণ্ডন করে চুলের ওজন পরিমাণ অর্থ দান করা।


৬। নবজাতকের মাথা মুণ্ডনের পর মাথায় জাফরান লাগানোও সুন্নাত।


৭। নবজাতকের মুখে খেঁজুর চিবিয়ে দেয়া। ইমাম নববি বলেন, সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে খেজুর দিয়ে তাহনিক করা সুন্নত।


৮। শিশুর বয়স সাত বছর হলে তাকে নামায এবং দীনের অন্যান্য প্রয়ােজনীয় শিক্ষা দেয়া।


৯। শিশুর বয়স দশ বছর হয়ে গেলে শাসন করে হলেও তাকে নামাযে অভ্যস্ত করা। 


জেনে রাখুনঃ 

একটি নবজাতক বুকের দুধ খেলে বারবার পায়খানা করবে এর জন্য মায়ের দুধ বন্ধ করা যাবে না

২। সন্তান প্রসবের পর মা প্রথমে যে গাঢ় হলুদ দুগ্ধ নিঃসরন হয় তাকে Colostrum বলে। এতে থাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবডি যার মধ্যে একটি হলো IgA বা Immunoglobulin A,যা সেই সদ্যজাত সন্তানের বৃদ্ধি  সুন্দর শারীরিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। সন্তানকে জন্মের পর এই Colostrum যদি না খাওয়ানো হয়,তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি দেখা যাবে  সন্তান দুর্বল হতে পারে পাশাপাশি বুকের দুধ খেলে বাচ্চা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, কানপাকা রোগ থেকে রক্ষা পাবে। বাচ্চা অনেক বেশি বুদ্ধিমান হবে

 


কোন মন্তব্য নেই

If you have any doubts please let me know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.