সন্তান মোবাইলে আসক্ত | kids phone addiction
মোবাইল আসক্তি এখন সামাজিক ব্যধিতে পরিনত হয়েছে। বড়রা’ত অবশ্যই, শিশুরা এতে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মোবাইলে আসক্তির কারনে কি হয়ঃ আসুন দেখি,অতিরিক্ত ব্যবহার বাচ্চাদের কি কি ভাবে
ক্ষতি করতে পারে।
১। স্মার্টফোন থেকে
নির্গত রশ্মি শিশুর চোখের রেটিনা, কর্নিয়া এবং
অন্যান্য অংশের ক্ষতি করে। দৈনিক পাঁচ-ছয় ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেই
শিশুরা এ রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাৎক্ষনিক ভাবে এটি বোঝা যাবেনা। এ ক্ষতি
হবে ধীরে ধীরে।
২। পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়। মেজাজও হয়ে উঠে খিটখিটে।
৩। টানা সময় বসে থাকার কারনে স্থূলতা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ঘুমের সমস্যাও হতে পারে।
৪।শিশু
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত,অটিজম ও হীনমন্যতার শিকার হতে পারে।
আপনি কি করতে পারেনঃ এ ব্যাপারে বাবা-মার ভূমিকা হবে সবচেয়ে বেশি। নিম্নে বর্নিত কিছু টিপস আপনাদের কাজে আসতে পারে।
১। বাইরে বন্ধু বান্ধব বা পরিচিত কারো সাথে খেলতে
পাঠান। এতে স্মার্টফোনের আসক্তি অনেকটাই কমে আসবে ।
২। গল্পের বই পড়তে দিন অথবা নির্দিষ্ট কিছু কাজ দিন ও
সেটা সময়ের মধ্যে শেষ করতে বলুন।
৩। গৃহস্থালির কোনও কাজে সাহায্য করতে বলতে পারেন।
এজন্য ছোটখাট পুরষ্কার ও দিতে পারেন।
৪। বাড়ির বয়স্ক মানুষদের সংস্পর্শে আনুন যেমন দাদা,
দাদীর সাথে সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন।
৫। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় ঠিক করে দিন। যেমন দিনের একটি
নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে সে মোবাইল ব্যবহার
করতে পারবেনা। দিনে সর্বোচ্চ ১-২ ঘন্টার বেশী নয়। দরকার হলে কঠোর হন।
৬। খাবারের সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করার প্রথা চালু
করুন। মোবাইল যেন কারো হাতে না থাকে।
৭। ঘুমানোর আগে থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ
করুন।
৮। লেখাপড়ায় ভালো বা বিশেষ কোন সাফল্য অর্জন করলে, ভালো ফলের পুরস্কার হিসেবে মোবাইল ফোন কিনে দিতে পারেন।সে ক্ষেত্রে তার বয়স উপযোগী মোবাইল ফোন কিনুন।
৯।ঘরের বাইরে বের হলে,সন্তানকে মোবাইল ব্যবহারে সাবধান হতে
বলুন। বিশেষ করে
রাস্তা পার হওয়া,রেল লাইনে হাটা ইত্যাদি।
সাবধানতাঃ
১। সন্তানের জন্য মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে তার পছন্দের ও গুরুত্ব
দিন। কোন কিছু চাপিয়ে দেবেন না।
২। ১৮ বছর হওয়ার আগে সন্তানকে স্মার্টফোন না দেয়াই
ভালো।
৩। ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে শিশু যাতে
ক্ষতিকর বা বয়স অনুপযোগী কোনো সাইটে ঢুকে যেতে না পারে সে জন্য বিশেষ কিছু সফটওয়্যার
ব্যবহার করতে পারেন।
শিশুর ধর্মই হল সে
যা দেখবে সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করবে। তাই আপনিও অন্তত বাচ্চার সামনে স্মার্টফোন
ব্যবহার কমিয়ে দিন।

কোন মন্তব্য নেই
If you have any doubts please let me know