ক্লিক করুন এখানে

দাঁতের যত্ন | best way to care for baby teeth

দাঁত শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ।শৈশব থেকেই শিশুর নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেয়া হলে ভবিষ্যতে তার মধ্যে দাঁত যত্ন নেয়ার অভ্যাস গড়ে উঠে এবং দাঁত সুগঠিত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম:

১। প্রতিদিন নিয়মিত দুবার দাঁত মাজার পাশাপাশি কুলকুচা এবং ফ্লসিংয়ের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার করুন।

২। ১৮ মাস থেকে বছর বয়সের শিশুদের জন্য ফ্লুরাইডহীন টুথপেস্ট ও নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন

৩। শিশুর বয়স দেড় থেকে দুই বছর হলেই তাকে দাঁত ব্রাশ করা শেখান। ৩ বছরের কম বয়সের শিশুকে খুব কোমল ব্রিসেলযুক্ত ব্রাশ দিন। এক্ষেত্রে,টুথপেস্ট ছাড়াই দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করাতে হবে। সন্তানকে ছয়-সাত বছর বয়স পর্যন্ত সঙ্গে নিয়েই সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করার অভ্যাস করান।

৪। শিশুর দাঁত ওঠার আগেও শিশুকে খাওয়ানোর পর আঙুলে পাতলা ভেজা কাপড় পেঁচিয়ে মাড়ি ও জিহবা আলতোভাবে পরিষ্কার করে দিন।

৫। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো, কারণ এটি দাঁতের আবরণ এনামেল গঠনে সাহায্যে করে। তবে এসব টুথপেস্ট পাঁচ-ছয় বছরের কম বয়সের শিশুকে দেবেন না।

৬।দাঁত ব্রাশ করা, মাড়ি মালিশ করা আর  ভালোভাবে কুলকুচা করা, দাঁতের পরিচ্ছন্নতায় এই তিনটি অভ্যাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নিন।

৭। টুথব্রাশটি দিয়ে তার জিভটিকেও অবশ্যই পরিষ্কার করে দেবেন।এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন কমাবে এবং মুখের দুর্গন্ধ ও এড়ানো যাবে

৮। ব্যাটারি চালিত টুথব্রাশদিতে পারেন যা সন্তানের দাঁত মাজাকে আরো আকর্ষনীয় করবে।

৯। শিশুকে গল্প বলার মাধ্যমে বা কোন মজার মিউজিকের মাধ্যমে ও ব্রাশ করাতে বৈচিত্র্য আনতে পারেন ।

১০। ব্রাশ করতে আগ্রহ না দেখালে আপনার শিশুর সাথে নিজেও ব্রাশ করুন।

১২। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শিশুকে তার নিজের দাঁত ব্রাশ করতে দেখতে দিন



সতর্কতাঃ

১। ব্রাশ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন টুথপেস্ট খেয়ে না ফেলে। সামান্য খেলে সমস্যা নেই। তবে নিয়মিত খেলে দাঁতে ছোট ছোট দাগ সৃষ্টি হতে পারে।

২। দুধ দাঁতের যত্ন না নিলে তা পড়ে যেতে পারে ক্ষয় হতে পারে। শিশু কথা বলতে ও খেতে অসুবিধা হবে।তাছাড়া দাঁত আঁকাবাঁকাভাবে উঠতে পারে, যা থেকে ঠোঁট ও গালের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা  থাকে।

৩। নিয়মিত পরিচর্যা ও ৬ মাস অন্তর চেকআপের মাধ্যমে দাতের সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।

৪। দুধ দাঁত নড়ে গেলে তা টেনে তোলা ঠিক নয়,আপনা আপনি উঠে গেলে ভালো,নইলে ডেন্টিস্টের কছে নিয়ে যান।

৫। মিষ্টি জাতীয় খাবার চকলেট, চুইংগাম, বিস্কিট, ফাস্ট ফুড, মিষ্টি, কোমলপানীয় এ সব বেশি খাওয়াবেন না এবং অবশ্যই খাওয়াবার পর ভালোভাবে কুলি/দাঁত পরিষ্কার করে দিন।

৬। শিশু যেন আঙুলচোষা,নখকামড়ানোএসবে অভ্যস্ত না হয় সে দিকে নজর দিন।

৭। ৬ বছরের কম শিশুদের মাউথ ওয়াশ দেওয়া যাবে না, এতে উল্টো দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।

৮। শক্ত খাবার, আঁশসমৃদ্ধ খাবার (যেমন ফলমূল) প্রভৃতি খাওয়ার অভ্যাস করুন


জেনে রাখা ভালো:

১। ৭-৯ বছরের শিশুদের সামনের দাঁতগুলোর কিছুটা ফাঁকা হয়ে থাকে। পার্মানেন্ট দাঁত উঠে গেলে তা আপনা আপনি সঠিক জায়গায় চলে যায়।

২। প্রতিবার খাওয়ানোর পরেই সন্তানের দাঁত ব্রাশ করানোর প্রয়োজন নেই প্রাতঃরাশের পর এবং রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে,দিনে এই দুবার ব্রাশ করানোই যথেষ্ট

৩।  দাঁতে কোনো সমস্যা থাক বা না থাক, প্রতি মাসে একবার দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান।

৫। টুথব্রাশ প্রতি তিন বা চার মাস পর পর বদলে ফেলুন।

 

কখন ডেন্টিষ্টের কাছে যাবেন

১। দাঁত নির্দিষ্ট বয়সে স্বাভাবিক ভাবে না পড়লে।

২। মাড়ি ফুলে গেলে

৩। দাঁত থেকে রক্ত পড়লে

৪।যে কোন কারনে দাঁত ব্যথা করলে।






কোন মন্তব্য নেই

If you have any doubts please let me know

Blogger দ্বারা পরিচালিত.